| |
               

মূল পাতা সারাদেশ মহানগর দু’এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে : তথ্যমন্ত্রী


দু’এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে : তথ্যমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     02 September, 2022     04:00 PM    


তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠনের দাবি দীর্ঘ দিনের। এর প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। আগামী দু’এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ হবে। বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এবং সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। আইনজীবীরা হচ্ছেন সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সে কারণে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ. এম আমিন উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা, মহানগর দায়রা জজ ড.বেগম জেবুননেছা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ. এস. এম বদরুল আনোয়ার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম ভুঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি শফিক উল্লাহ, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উদ্দিন হায়দার ও সাবেক সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন। তিনি আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর বাবাও চাইতেন তিনি আইনজীবী হোন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যারা পড়েছেন তারা জানেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কার করার কারণে তিনি আইনজীবী হতে পারেন নি। পৃথিবীর বড় বড় রাজনীতিবিদদের দিকে যদি তাকায় তাহলে দেখা যায় ভারতবর্ষের মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু আইনজীবী ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাও আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবী পেশাটা রাজনীতির জন্য সহায়ক। আমাদের দেশের প্রথম যে পার্লামেন্ট, ‘৭০-এর নির্বাচনের যে পার্লামেন্ট এবং দেশ স্বাধীন হবার আগে পূর্ব পাকিস্তানের যে আইনসভা ছিল, ভারতবর্ষের বাংলার যে আইনসভা ছিল সেদিকে যদি তাকাই, সেখানে মেজরটি ছিল আইনজীবী। পরে অর্থের দাপটের কারণে অনেকে টিকতে পারেননি। আমাদের মন্ত্রিসভায়ও পেশাগত দিক দিয়ে এখনো সবচেয়ে বেশি হচ্ছেন আইনজীবী। কারণ আইনজীবীরা হচ্ছেন সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সে কারণে তাদের পক্ষে রাজনীতি করা সহজ।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের অনেক সদস্য ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভূমিকা রেখেছেন। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি বাংলাদেশের জেলা বার গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বার। বারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলেই সেটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ বার হয় না। তবে যদি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অতীত সদস্যদের কথা চিন্তা করেন, এই দেশের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম। দেশ বিভাগের আগে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেকেই চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। অনেক বিজ্ঞ আইনজীবীরা এই সমিতির সদস্য ছিলেন। এখনো অনেক সদস্য আছেন যারা অনেক জ্ঞান রাখেন। সেই বিবেচনায় চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশন বাংলাদেশের যত জেলা বার আছে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ বলে আমি মনে করি। বিজ্ঞ আইনজীবীরা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে, সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন। যেভাবে চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের অনেক সদস্য ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ভূমিকা রেখেছেন এবং রাখছেন।

 


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম